ক্ষমতায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কিছু ‘অ্যাডজাস্ট’ করতে হয় বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সংসদে মহাসড়ক বিল পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী সংসদ সদস্যের সমালোচনার জবাবে তার এই স্বীকারোক্তি আসে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, পরিষ্কারভাবে একটি সত্য কথা বলতে চাই। এখানে অনেক সমস্যা আছে। যখন চেয়ারে বসবেন, অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হয়। একটা চ্যালেঞ্জিং জব। এখানে আমরা কিছু কিছু বিষয় অ্যাডজাস্ট করি।
জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের উপর আলোচনায় বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, সড়ক পরিবহন আইন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাপে সংশোধন করে শাস্তি কমান হচ্ছে।
তিনি এই সংশোধনীর উদ্যোগকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা বলেও মন্তব্য করেন।
জবাব দিতে গিয়ে কাদের বলেন, যেটা বলা হয়েছে তা মোটেও ঠিক নয়। আপনি আইনটির সংশোধিত রূপটি এখনও দেখেননি। এটা সংসদে আসেনি। ওয়েবসাইটে আছে। আইন শাখা এটা ইতোমধ্যে ভেটিং করেছে। তারপরও আমাদের ওয়েবসাইটে রেখেছি। মতামত নিচ্ছি।
তিনি বলেন, তিনজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা খুব সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে একটি সংশোধিত রূপ দাঁড় করিয়েছে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই আইনে সাজার শৈথিল্য বা কঠোরতা কোনোভাবেই শিথিল করা হয়নি। কোনো সাজা কমান হয়নি।
শুধু ভাষাগত ও প্রতিশব্দের বিষয় এবং প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনটি যুগোপযোগী করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া অন্য কিছু এখানে নেই। এখানে সাজা কমিয়ে কাটছাঁট করে কারও সাথে প্রতারণা করিনি। জনবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করে না।
সড়কে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়কের দুর্ঘটনা বন্ধ শুধু সরকারের কাজ নয়। সকলের সহযোগিতা দরকার। সাধারণরা আইন মানলেও, আপনি ভিআইপি হয়ে রং সাইডে যেতে চান। সেখানে কি সড়কের শৃঙ্খলা থাকবে? মা শিশুকে কোলে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে আইল্যান্ড ক্রস করছে। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে কানে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। দুর্ঘটনা হবে না? এজন্য কি শুধু চালকরা দায়ী?
তিনি বলেন, বেপরোয়া ড্রাইভিং অবশ্যই দায়ী, আমি সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা জনগণ যারা রাস্তা ব্যবহার করি, তারা সচেতন নই। শধু চালক নয়, পথচারীরাও বেপরোয়া হয়ে যায়।