সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার কতটা উপকারী? সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার কতটা উপকারী? – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার কতটা উপকারী?

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৬৩ পাঠক

সন্তান জন্ম দেয়া একজন নারীর জীবনের অনেক কঠিন সময়। গর্ভবতী মায়ের সন্তান গর্ভে থাকাকালীন যেমন তার যত্ন নিতে হয় তেমনি সন্তান জন্মদানের পরে তার অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেয়ে সিজারিয়ান করলে যত্ন নেয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। গর্ভধারণের পরবর্তী ওজন এত সহজে কমে না। বিশেষ করে সিজারিয়ান হলে পেটের মেদ কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় যেতে অনেক সময় লাগে। যেকোনো ধরনের পেটের মেদ কমানো খুব সহজ নয় এবং সিজারিয়ান করলে অবস্থাটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায়। কারণ, তখন স্ট্যান্ডার্ড অ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজ করা যায় না। তথাপি বিকল্প উপায়ে সিজারিয়ান পরবর্তী পেটের মেদ কমানো যায়। আসুন জেনে নেই সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার করে কতটুকু উপকার পাওয়া যায় ও এর সুবিধাসহ আরও কিছু উপায় সম্পর্কে!

বেল্ট ব্যবহার কখন উপযুক্ত?
সিজারের পরে কোমরে বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। বেল্ট ব্যবহারে কোনো সমস্যা নয়। সার্জারির পর হাঁচি-কাশি ও টয়লেট ব্যবহার করার সময় বেল্ট ব্যবহার ভালো। এতে হাঁটতে সুবিধা হবে। নরমাল ডেলিভারির পর একদিন পর থেকেই বেল্ট পরা যায়। তবে সিজারের পর সেলাই শুকানোর পর থেকেই বেল্ট পরা যায়। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে অন্তত ৪০দিন পর্যন্ত বেল্ট ব্যবহার করা উত্তম।
বেল্ট ব্যবহারের সুবিধা
এটি পেটের চারপাশে আরামদায়ক টাইট একটি বন্ধনি হিসেবে কাজ করে। হালকা প্রেশারের কারণে পেটের থলথলে ভাব কমে যায়।
সিজারের সময় পেটের কয়েক স্তরের মাংস পেশি কেটে যায়। বেল্ট পরার ফলে প্রেশারের কারণে সেই পেশি জোরা লাগার দ্ধতি ত্বরান্বিত হয়।
বেল্ট ব্যবহার করলে নবজাতককে কোলে নিতে, দুধ খাওয়াতে, নাড়াচাড়া করতে শুবিধা হয় এবং ব্যথা কম হয়।
সিজারের পর নিয়মিত বেল্ট ব্যবহার করলে প্রথম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যেই জরায়ু পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে।
কোমর ব্যথায় উপশম হয়।
কখন বেল্ট পরা যাবে না?
সিজারের পর ইনফেকশন থাকলে বেল্ট ব্যবহার করা যাবে না।
অতিরিক্ত টাইট করে বেল্ট ব্যবহার করলে হার্নিয়া হতে পারে বা ইন্টার্নাল ব্লিডিং হতে পারে। সেক্ষেত্রে বেল্ট ব্যবহারে সাবধান হতে হবে।
গরমের সময় বেশিক্ষন বেল্ট ব্যবহার করলে বা ঘাম হলে ইনফেকশন হতে পারে বা র্যাডশ অথবা চুলকানি হতে পারে।
প্রসবকালীন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বেল্ট ব্যবহারে সাবধান হতে হবে। অনেকের হার্টে চাপ পড়ে বুক ধড়ফড় করতে পারে। সেক্ষেত্রে বেল্ট ব্যাবহার করা যাবে না।
সিজারের পর বেল্ট ব্যবহারে যেসকল বিষয় খেয়াল রাখবেন
সঠিক মাপের বেল্ট ব্যবহার করতে হবে।
বেল্ট এমনভাবে বাধঁবেন যেন তা খুব বেশি শক্ত বা খুব বেশি ঢিলেঢালা না হয়। সহনীয় হয় এমনভাবে বাধঁবেন।
খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর বেল্ট বাঁধবেন। ঘুম এবং গোসলের সময় বেল্ট পরবেন না।
ইলাস্টিক ফাইবারের বেল্ট ব্যবহার করবেন। বেল্ট ভিজে গেলে ভেজা বেল্ট পরবেন না। এতে র্যা শ হতে পারে।
সিজারের পর মেদ কমাতে আরও যেসব উপায় আছে
ব্রেস্ট-ফিডিং
সিজারের পর মেদ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো। বাচ্চাকে ৬ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর সাহায্যে পেটের অনেক অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।
প্রচুর পানি পান করুন
পানি শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স রক্ষা করে। পানি অন্ত্র থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এতে ক্ষুধা কম লাগবে ও পেট ভরা থাকবে।
হালকা ব্যায়াম
স্বাভাবিক প্রসবের অন্তত দেড় মাস পর এবং সিজারিয়ান প্রসবের ২ মাস পর থেকে ব্যায়াম শুরু করতে হবে। তবে হালকা ব্যায়াম দিয়েই শুরু করা উচিত। পেটের ব্যায়ামগুলো আট-নয় মাস পর শুরু করা ভালো। ইয়োগা পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায়। যেমন-প্রাণায়াম। এতে পেটের মাংসপেশি দৃঢ় হয়। ব্যায়াম করলেই দ্রুত ওজন কমে যাবে না। অন্তত ২ থেকে ৩ মাস নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে।
খাবারে সতর্কতা
ভাত, মিষ্টিসহ শর্করা জাতীয় অন্যান্য খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যারা গর্ভধারণের আগে থেকেই একটু মুটিয়ে গিয়েছেন, তাদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। এছারাও প্রোটিন, ফল ও সবজি খেতে হবে। তবে ঘি, মাখন ও মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমাতে সহায়তা করে। কম ঘুমালে শরীরে ক্লান্তি থেকে যায়। এই ক্লান্তি কাটাতে অনেকে বেশি খেয়ে ফেলেন। যার কারণে ওজন বেড়ে যায়। সন্তান জন্মের পর মায়েরা ঘুমানোর সময় পান না। তারপরও মাকে খানিকটা সময় বের করে নিতে হবে ঘুমানোর জন্য।
সিজারিয়ান অপারেশনের পরে কিছু দিন ভারী ব্যায়াম করতে পারবেন না বলে আপনি আপনার পূর্বের আকার ফিরে পাবেন না এমন ভেবে হতাশ হবেন না। ধৈর্য ধারণ করুন ও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিন এবং চেষ্টা করুন।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD