সাতক্ষীরায় এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজা খাতুন (২৯) সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়া নুর ইসলামের ছেলে আবুল কালাম আজাদের (৩৫) স্ত্রী ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়ানের গোলাম মোস্তফা মেয়ে।
খাদিজার ছোট্ট ভাই ফারুক হোসেন সোহাগ বলেন, রোববার রাতে ফোন করে আমাকে জানানো হয়েছে যে খাদিজা অসুস্থ, সদর হাসতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখানে এসে দেখি আমার বোন লাশ হয়ে শুয়ে আছে। ডাক্তার বলছে- আরো ১ ঘণ্টা আগেই মারা গেছে। আমি আশার পর দুলাভাই লাশ রেখে পালিয়ে যায় এবং সেখান থেকে ফোনও বন্ধ করে রেখেছে। তার পরিবারের কেউ খোঁজ-খবরও নেয়নি।
তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ করেছি। আমার বোনের কান দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায় এবং গলার দাগ দেখে আমাদের সন্দেহ হয় যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে স্বামীসহ অন্যরা শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকে নির্যাতন করতো আবুল কালাম আজাদ। শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন হত্যার আগেও তাকে মারধরসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা করেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।