মেয়েকে নিয়ে পরদিনই চলে যান ঢাকায়। স্কয়ার হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা নেন। কিন্তু উন্নতি না হওয়ায় তার মন মানেনি। মেয়ে জোহাকে নিয়ে উড়াল দেন ব্যাংককে। দুশ্চিন্তায় ঘিরে থাকা সময় কাটিয়ে এখন মেয়ের অব্স্থা উন্নতির দিকে।
তাকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিন মাসের জন্য ওষুধ দিয়েছেন ডাক্তার। আপাতত সেসব নিচ্ছেন। মেয়ে আছেন ঢাকায়। অস্থির পায়চারিতে কাটা সময় শেষে বাবা জিয়াউর রহমান এখন ফিরেছেন বিপিএলে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে অনুশীলনে মাঠে নেমেছেন তিনি।
মেয়ের অবস্থার কথা জানিয়ে রোববার জিয়া বলছিলেন, ‘আমার বাচ্চা হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ও ভালো আছে। এখন ওষুধ চলছে ওর। ডাক্তার তিন মাসের একটা কোর্স দিয়েছে। ওটাই চলছে। ’
বিপিএলের শুরুর দিকে মাঠে নামতে পারেননি জিয়া। তাকে ছাড়া খেলা চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে চট্টগ্রাম। এ সময়ে দলের সঙ্গে থাকেননি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে ঠিকই সমর্থন পেয়েছেন। এজন্য তিনি জানিয়েছেন ধন্যবাদও।
তিনি বলেন, ‘মানুষের বিপদে যদি মানুষ না থাকে, তাহলে কিন্তু মানুষ বলা যাবে না। এটা কিন্তু স্বাভাবিক নিয়ম, আপনি বিপদে পড়েছেন আমি পাশে থাকবো। আসলে অনেক সময় (এমনটা) হয় না। কিন্তু আমার দল আমাকে মানসিকভাবে খুব সমর্থন দিয়েছে। ’
‘সবসময় আমার পাশে ছিল, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে; খোঁজ নিয়েছে। একজন সন্তানের বাবা হিসেবে আমি খুশি। তারা আমাকে কোনো চাপ দেয়নি। তারা বলেছে আপনি থাকেন, কোনো টেনশন নিয়েন না। আপনার কোনো সাহায্য লাগলে আমরা আছি। ’